ডিম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে হাঁস পালন করতে আগ্রহী তাদের কাছে ক্যাম্পবেল জাতই বেশি জনপ্রিয়। ইংল্যান্ডের এই সংকর জাতটির হাঁসের রং খাকি বলে এর নাম খাকি ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেল নামক এক মহিলা ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জাতের হাঁসের মধ্যে সংকরায়ন ঘটিয়ে এ জাত সৃষ্টি করেন।
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের বৈশিষ্ট্যঃ
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সাড়ে ৪ মাস বয়স থেকেই ডিম দিতে শুরু করে এবং বছরে প্রায় ৩০০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ডিমের আকারও অপেক্ষাকৃত বড়।
এভাবে এ জাত টানা ১-৩ বছর পর্যন্ত এই হারে ডিম পাড়ে। পরে ডিম পাড়ার হার কমে এলেও তা দেশি হাঁসের তুলনায় বেশি। এ হাঁসের মাংসও মুরগির মতোই পুষ্টিকর।
হাসা এবং ডিম পাড়ার পর স্ত্রী হাঁসকে মাংস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। খাকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস বেশ কষ্টসহিষ্ণু। এই হাস পালনে বেশি পানিরও প্রয়োজন হয় না।
কেবল খাবার ও গলা ডোবানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেলেই এরা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পুকুর বা অন্যান্য জলাশয় ছাড়াই এই হাস পালন সম্ভব।
ডিম উৎপাদনের জন্য খাকি ক্যাম্পবেল জাতের ক্ষেত্রে পুরুষ হাঁসের উপস্থিতি প্রয়োজন হয় না, অথচ দেশি হাঁসের ক্ষেত্রে পুরুষ হাসের প্রয়োজন হয়।
সূত্র: krishipedia